সীরাতে রসুল (সা.)
মুহাম্মদ সানাউল্লাহ চাটগামী
নূরের আলো কোলে করে
এল দেখ মা আমিনা,
এই নূরের আলোক ছটায়
জ্যোতির্ময়ী ভূবন ধরা॥
সপ্ত ধরা আজ ধন্য হল
মহালোকের আগমনে,
জগত জুড়ে ছাড়িয়ে গেল
ঐশিলোকের নূর কিরণে॥
আল্লাহ তালার পেয়ারা হাবীব
সকল নবীর সেরা নবী,
সকল নবীর ইমাম তিনি
সব জগতের কান্ডারী॥
মায়ার নবী দয়ার নবী
সব জগতের শিরোমনি,
সৃষ্টি কিছু নাই হতো
না নিলে জন্ম তিনি॥
আকাশ বাতাস দরুদ পড়ে
ঐ মানবের চরণতলে,
সব মানবের সেরা মানব
আজকে এল এই জগতে॥
তারই নামে দরুদ জপে
লওহ কলম আরশ-কুরসী,
নূরুন আলা নূর তিনই
খোদার দেওয়া ঐশিবারি॥
এই জগতে যখন ছিল
অন্ধকার আর অমানিশা,
মানব সমাজ দিক হারিয়ে
পুজা করত বৃক্ষ-লতা॥
মানব সমাজ দিক হারিয়ে
মানবতা ভূলুণ্ঠিত,
বর্বরতা সব ছাড়িয়ে ছিল
পাপাচারে নিমজ্জিত॥
স্বমহিমায় নূরের আলোয়
দূর করিল অমানিশা,
খোদার বাণী ছাড়িয়ে দিয়ে
জগতে দিল আলোর দিশা॥
সত্য দীনের আলোয় মানুষ
আলোকিত জগত ধরা,
জড় পূজা ছেড়ে দিয়ে
সব পূজা ঐ এক খোদা॥
হাজার দরুদ সালাম জানাই
ঐ মানবের চরণতলে,
যার উসিলায় মুক্তি পাবে
পাপী মানুষ পরকালে॥
আকূল মনে আরজি করি
ওগো প্রভু তোমার কাছে,
এই পাপীরে ক্ষমা করিও
ঐ মানবের শাফায়াতে॥
আমার নবী শুয়ে আছে
ধন্য ভূমির যে আঙিনায়,
মৃত্যুর আগে পৌঁছে দিও
পূণ্যভূমি ঐ মদিনায়॥
দু’চোখ ভরে দেখব আমি
আমার নবীর পূণ্যভূমি,
সকল পাপ দূর করিব
ঐ মদিনার ধূলায় পড়ি॥
আজব মানুষ
মু. ইবরাহীম মুরাদাবাদী
আজব মানুষ দেখবে তুমি?
চলো আমার সাথে,
তার পরিচয় জানতে চাও?
খোঁজো আমার বাতে।
পানির ওপর ঘুমায় সদা
ঘুমায় না সে খাটে,
পা দু’টো তার ওপর দিকে
দু’হাত দিয়ে হাঁটে।
সকাল বেলা ঘুমিয়ে পড়ে
সারা দিন-ই ঘুমায়,
ফরজ নামায পড়ে না সে
যায় যে কেবল জুমায়।
দুর্নীতি তার পছন্দ বেশ
নেয় সে নীতির কাছে,
এমন মানুষ এই ধরাতে
কেমন করে বাঁচে?!
কুরআন-হাদীস পড়ে আবার
উল্টে আমল করে,
এমন মানুষ ধরার মাঝে
দুঃখের রাশে মরে।
কবি
গোফরান উদ্দীন টিটু
ঘুম ভেঙে আজ জাগছে কিশোর বনে
ঘুমের রাণী জাগায় ক্ষণে ক্ষণে
ঘুমকিশোরী হাত বাড়িয়ে ডাকে
ঘুমের ঘোরেই হাসায় ছেলেটাকে।
ছেলেটি আজ বালকবেলার পরে
পা রেখেছে কিশোর হওয়ার ঘরে।
এমনি দিনে এমনি ক্ষণে সে যে
পাগল হলো আজকে ভালো সেজে।
একটি মেয়ে স্বপ্নপরির রূপে
দিচ্ছে হানা মনে চুপে চুপে
ছেলেটি তাই হয়েই গেল কবি
মনেতে তার এক কিশোরীর ছবি।
তাকে নিয়েই লিখছে ছড়া, গান
দিচ্ছে সপে আকুল মন ও প্রাণ।
ঘুম গিয়েছে চোখ থেকে তাই চলে
পাগল মেয়ে করলো ছলেবলে।
যতই তাকে করছে সে যে মানা
সেই চেহেরা ততই দেবে হানা।
যায় না ভোলা এমন শরৎরূপ
কাশের দোলায় পুজোর গন্ধ ধূপ।
কোথায় পাবে খুজে এমন হাসি
যে মেয়েটি বলবে ভালোবাসি।
ভাবতে ভাবতে ঘুমপরি দেয় চুম
তবু ছেলের দুচোখে নেই ঘুম।
ঘুমের দেশেই সেই কবিতার বাড়ি
যার সঙ্গে তার নয় কখনো আড়ি।
সাত সমুদ্র তেরো নদী পরে
স্বপ্নকন্যা তার যে বসত করে।
তাকেই দেখে জেগে ও চোখ বুজে
একদিন ঠিক আনবে যাকে খুজে।
ও বালিকা ও নায়িকা আয় রে
কবি তোকেই প্রাণটি ভরে চায় রে।
ধিক্কার!
হ. ম. সাইফুল ইসলাম মনজু
অবিচার অনাচার মুখবুজে সয়ে যায়,
অবৈধ শোষণের বোঝা ঘাড়ে বয়ে যায়।
একেবারে নুয়ে যায়,
পুরো কুঁজা হয়ে যায়।
আসেনারে মুখে তবু হা-হুতাশ চিৎকার,
ধিক্কার! ধিক্কার!
রোজ রোজ প্রতিরোজ তাগুতীরা মারে আর,
খিলখিল হাসে,পাড়ে গালি নবী, স্রষ্টার!
খুন হয় শিশু কার!
ঐ নারী লাশ কার!
টিটকারি শুনে কানে শুনে সুখ-শিৎকার।
ধিক্কার! ধিক্কার!
নামধারী মুসলিম, খুনে কোন জোশ নাই,
রক্তের হুলিখেলা, জলেনা সে, রোষ নাই।
বিজাতির দোষ নাই,
নিজেদের হুশ নাই।
তলিয়েছে মোহতলে গুণাগুণ শিক্ষার।
ধিক্কার! ধিক্কার!
জ্ঞানপিয়াসী
জাবের আজিজ
হৃদয় আমার প্রণয়-খামার
জ্ঞানপিয়াসীর তরে,
ছাত্ররা সব বাঁধন হারায়
জ্ঞান তলবে মরে।
থাকবো আমি তাদের সাথে
কিতাব ও বই-মাঝে,
মাবুদ তুমি তাওফিক দাও
জ্ঞান তলবের কাজে।
হৃদয় আমার দীক্ষিত হোক
ইলমেরই দেশে,
কিতাব আমি,পড়বো সদা
প্রেমাস্পদের বেশে।
আগ্রহ আর উদ্দীপনা
হৃদয়টা পাক বেশ,
রয়ে ডোবে জ্ঞানের মাঝে
জীবন হবে শেষ।
গাড়ি বাড়ি দালান-কোঠায়
চাই না হতে বিত্তবান,
জীবন আমার জ্ঞ্যানের সাথে
থাকুক সদা বিদ্যমান।
বলছেন আমার প্রিয় নবী
ইলমে যে প্রোথিত,
করেন তাকে মহান প্রভু
স্বর্গ-পথে চালিত।
দোয়া করেন তাদের জন্য
পৃথিবীর সব মানুষও,
শুধু তা নয় দোয়া করেন
জলগর্ভের মৎস্যও।