আরবি সাহিত্যের মৌলিকত্ব
ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী এমপি
ইসলামি আরবি সাহিত্য যাঁরা পড়েন ও পড়ান তাঁদের মন ও মেজাজে একটু প্রশস্ততা সৃষ্টি হয়। আমাদের কওমি মাদরাসাসমূহে অধ্যয়নরত ছাত্রদের মধ্যে আরবি সাহিত্যপ্রেমী শিক্ষার্থীদের উপকার হয় এমন কিছু কথা আমি এখানে বলতে চাই। যারা আরবি সাহিত্য পড়তে আগ্রহী তাদের জেনে রাখা উচিত যে, আরবি সাহিত্য মৌলিকভাবে দুই প্রকার। এই প্রকারদ্বয় হলো,
(১) الأدب الطبيعي أو الأدب الفطري তথা স্বভাবজাত বা ন্যাচারাল আরবি সাহিত্য,
(২) الأدب التقليدي أو الأدب الصناعي তথা অন্যের অনুসরণে রচিত বা প্রণীত এমন আরবি সাহিত্য, যেখানে কৃত্রিমতা আছে। এক কথায় যা স্বভাবজাত নয়। নিম্নে আমি উদাহরণসহ উপর্যুক্ত দুই প্রকারের বর্ণনা উপস্থাপন করছি।
১. الأدب التقليدي أو الأدب الصناعي বা কৃত্রিম আরবি সাহিত্য বলতে বোঝায় গতানুগতিক সাহিত্যচর্চা। যেটি ন্যাচারাল নয়। এটি এমন আরবি সাহিত্য যেটাতে গভীরতা কম থাকবে। কম অর্থবহ হবে। হৃদয়ের ভেতরে তেমন বেশি আকর্ষণ ও অনুরণনও তৈরি করতে পারবে না। কিন্তু শব্দাবলি হবে খুবই কঠিন ও দুর্বোধ্য। অর্থও হবে অনেক কঠিন এবং এ সাহিত্যে বাক্যের শেষাংশে অধিকাংশ সময় سجع – قافية তথা অন্ত্যমিলযুক্ত শব্দ থাকবে। যাকে আমরা অন্ত্যমিলযুক্ত বাক্যও বলে থাকি। এটি কৃত্রিম আরবি সাহিত্যের একটি বৈশিষ্ট্য।
যেমন- তোমরা অনেকে পড়েছ, আরবি সাহিত্যের প্রসিদ্ধ কিতাব المقامات الحريري| যে কিতাবের পুরোটাই অন্ত্যমিলযুক্ত বাক্যের সমাহারে ভরপুর। এর শব্দাবলি খুবই কঠিন, অর্থবহ কম। দীর্ঘসময় অধ্যয়নের পরেও শিক্ষার্থীদের জন্য এ কিতাবের বাক্যসমূহের ভাবার্থ ও মর্মার্থ মনে রাখা দুঃসাধ্য হয়ে যায়। যত পড়ে তত ভুলে যায়। কারণ কৃত্রিম সাহিত্য হওয়ায় এর বিষয়াবলি হৃদয়ে আত্মস্থ ও অন্তরে মুখস্থ হয় না। আরবি সাহিত্যের যুগ পরম্পরায় এমন এক যুগও অতিবাহিত হয়েছিলো (বিশেষ করে আব্বাসি যুগের খলীফা আল-মামুনের শাসনামলের আরবি সাহিত্য) যে যুগে আরবি রচনাবলিতে (গদ্য ও পদ্য) ব্যবহৃত বাক্যসমূহে কঠিন ও দুর্বোধ্য শব্দাবলি না থাকলে কোন লেখককে আরবি সাহিত্যিক বলা হতো না। সমাজের আলিমদের মধ্যে তিনি গ্রহণযোগ্য মানের আরবি সাহিত্যিক হিসেবে স্বীকৃতি পেতেন না। আমি সংক্ষিপ্তভাবে একটি উদাহরণ দেই,
ইরানের প্রসিদ্ধ একটি শহরের নাম কুম। এটি ইরানের ধর্মীয় শহর বা রিলিজিয়াস সিটি হিসেবে বিখ্যাত। ইরানের সকল ধর্মীয় নেতাদেরকে সাধারণত এখানেই দাফন করা হয়ে থাকে। এ শহরের একজন বিচারপতি একটি নিয়মবিরুদ্ধ আচরণের কারণে একসময় গভর্নর কর্তৃক জাস্টিস পদ থেকে বরখাস্ত হন। তাকে বহিষ্কারাদেশ প্রেরণ করতে গিয়ে গভর্নর একটি পত্র লিখেন। পত্রটি ছিলো মাত্র এ এক লাইনের:
أيها القاضي بقمْ قد عزلناك فقمْ.
অর্থাৎ হে কুম শহরের বিচারপতি, তোমাকে আমি বরখাস্ত করেছি, তুমি এবার বিদায় হও, চলে যাও!
এটি হচ্ছে, অন্ত্যমিলযুক্ত বাক্যের উদাহরণ, যা কৃত্রিমতাপূর্ণ আরবি সাহিত্য তথা الأدب التقليدي-এর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আমি সংক্ষিপ্ত উদাহরণ দিয়েছি শিক্ষার্থীদের বোঝার স্বার্থে|
২. আর الأدب الطبيعي أو الأدب الفطري তথা স্বভাবজাত আরবি সাহিত্যের পরিচয় হলো; যেটাতে কৃত্রিমতা নেই, ন্যাচারাল সাহিত্য। অধ্যয়নের ফলে হৃদয়ে আকর্ষণ তৈরি হয়। দীর্ঘসময় অন্তরে গেঁথে থাকে। আত্মস্থ হলে একজন শিক্ষার্থী সহজে ভুলে যায় না। আমাদের উস্তাদ শায়খ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ.) বলেছেন, স্বভাবজাত আরবি সাহিত্য শিখতে ও জানতে হলে ধারাবাহিকভাবে নিম্নের গ্রন্থাদি অধ্যয়ন করতে হবে:
- القرآن الكريم،
- كتب الأحاديث النبوية،
- كتب السيرة النبوية،
- الكتب الفقهية،
- ضُرُوبُ الأمثال.
আমি উপর্যুক্ত প্রত্যেকটি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাখ্যা সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করছি:
১. আল-কুরআনুল করীম হলো স্বভাবজাত আরবি সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎস। কুরআনি আরবি সাহিত্যের কোন নজির দুনিয়ার কেউ দেখাতে পারবে না। কুরআনের সাহিত্যিক দিক হৃদয়ে ধারণ করে কুরআন তিলাওয়াত করলে অন্তরে এক তোলপাড় অবস্থা সৃষ্টি হয়। আল-কুরআন অবতীর্ণের সময় তৎকালীন যুগের আরবি স্বভাব কবি ও স্বভাবজাত আরবি সাহিত্যের রথীমহারথীরা সকলে আল-কুরআনের সাহিত্যের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলো। যার বর্ণনা মহান আল্লাহ স্বয়ং কুরআনে এনেছেন। যেটি ই’জাযুল কুরআনের অন্যতম মৌলিক একটি পাঠ ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
২. আর হাদীসের কিতাবে আমাদের নবীজি (সা.)-এর হাদীসসমূহে আরবি সাহিত্যানুরাগীদের জন্য রয়েছে স্বভাবজাত আরবি সাহিত্য চর্চার অনন্য সুযোগ। সাহিত্যিক দিক লক্ষ করে কেউ হাদীসের বর্ণনা অধ্যয়ন করলে অন্তরে সৃষ্টি হয় এক অসাধারণ অনুভূতি। তার বিশেষ কারণ হচ্ছে, আমাদের নবীজী (সা.) ছিলেন স্বভাবজাত আরবি সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। তিনি রিয়েল আরবি সাহিত্যের সর্বোৎকৃষ্ট নমুনা। তাই হাদীসের গ্রন্থাবলি অধিক পরিমাণে অধ্যয়ন করলে একজন শিক্ষার্থীর ভেতর তৈরি হবে স্বভাবজাত আরবি সাহিত্যের প্রখর প্রতিভা।
যেমন- ইফকের ঘটনা-সংবলিত হাদীসসমূহ আমরা পড়তে পারি। আল্লাহর পক্ষ থেকে উম্মুল মুমিনীন আয়িশা আস-সিদ্দীকা (রাযি.)-এর পবিত্রতা সরাসরি আল-কুরআনুল করীমে ঘোষিত হওয়ার পর তিনি যুগপৎ আনন্দ ও বেদনাময় হৃদয়ের যে অভিব্যক্তি চমৎকার ভাষায় ব্যক্ত করেছেন তা যদি কোন আরবি সাহিত্যপ্রেমী শিক্ষার্থী অন্তর দিয়ে অনুধাবন করত অধ্যয়ন করে তাহলে তার চোখ অবশ্যই অশ্রুজলে সিক্ত হয়ে যাবে। এটি ছিলো উম্মুল মুমিনীন আয়িশা আস সিদ্দীকা (রাযি.)-এর স্বভাবজাত আরবি সাহিত্য প্রতিভার ফল। হযরত হাসসান ইবনে সাবিত (রাযি.)ও নিজের ভুল বুঝতে পেরে হযরত উম্মুল মুমিনীন আয়িশা আস-সিদ্দীকা (রাযি.)-এর পবিত্রতা ও মহত্ত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে হৃদয়ের গভীর মূল থেকে যেই কাব্যিক অভিব্যক্তি পেশ করেছেন তা ছিলো স্বভাবজাত আরবি সাহিত্যের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। যা পড়লে ও হৃদয়ে ধারণ করলে নিজের অবচেতনেই যে কারো চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে যাবে। যেমন- শায়িরুর রাসূল নামে খ্যাত সাহাবী হযরত হাসসান ইবনে সাবিত (রাযি.)-এর কাব্যিক অভিব্যক্তি ছিলো এ রকম:
حصان رزان ما تزن بريبة
وتصبح غرثىٰ من لحوم الغوافل
حليلة خير الناس دينا ومنصبا
نبي الهدىٰ والمكرمات الفواضل
عقيلة حيٍ من لؤيٍ بن غالب
فِرام المساعي مجدها غير زائل
مهذبة قد طيب الله خيمها
وقاها من كل سوءٍ وباطل
فإن كنت قد قلت الذي قد زعمته
فلا رفعت صوتي إلي أناملي
وإن الذي قد قيل ليس بلائط
بها الدهر بل قول امرءٍ بيماحل
فكيف وودي ما حييت ونصرةٍ
لآل نبي الله زين المحافل
له رتب عال على الناس كلهم
تقاصر عنه سَورةُ المتطاول
رأيتك وليغفر لك الله حرة
من المحصنات غير ذات موائل
حصان رزان ما تزن بريبة
وتصبح غرثىٰ من لحوم الغوافل
৩. স্বভাবজাত আরবি সাহিত্য প্রতিভার উন্মেষ ঘটাতে চাইলে সিরাতের গুরুত্বপূর্ণ আরবি কিতাবসমূহ অধ্যয়ন করতে হবে। যেমন- যাদুল মাআদ ফি হাদয়ি খায়রিল ইবাদ, আল-খাসায়িসুল কুবরা, সিরাতে ইবনে হিশাম, আবুল হাসান আলী নদভী (রহ.)-এর আস সিরাতুন নাববিয়া ইত্যাদি।
প্রসঙ্গত স্বভাবজাত আরবি সাহিত্যের আরও একটি উদাহরণ আমি এখানে উপস্থাপন করছি যা সিরাতের প্রায় প্রত্যেক কিতাবে কুরআন ও বিশুদ্ধ হাদীসের বরাতে বর্ণিত হয়েছে। তা হচ্ছে, তাবুকের যুদ্ধে তিনজন প্রসিদ্ধ সাহাবীর অংশগ্রহণ না করা সংক্রান্ত ঘটনা। সেই তিনজন সাহাবী ছিলেন, (১) কা‘আব ইবনে মালিক (রাযি.), (২) হিলাল ইবনে উমাইয়া (রাযি.), (৩) মুরারা বিন রাবি‘আ আল-আনসারী (রাযি.)। তাঁরা গযওয়ায়ে তাবুকে অংশ না নেওয়ায় রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁদের প্রতি খুবই অসন্তুষ্ট হয়ে আল্লাহর ফায়সালা শুনিয়ে দিলেন। আর তা ছিলো, প্রিয় নবীজি (সা.), সাহাবায়ে কেরাম এমনকি নিজের ঘরওয়ালি পর্যন্ত তাঁদের সাথে কথা বলা বন্ধ রাখবেন, যতক্ষণ আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা না করেন। এ অবস্থায় তাঁদের জন্য দুনিয়ার জমিন হয়ে গিয়েছিল সবচেয়ে সংকীর্ণ ও বিষাদময়। তাঁদের রোনাজারিতে মদীনার আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে এসেছিলো। তাঁরা বলতেন, নিজের স্ত্রী পরিজন কথা বলছে না তা সহ্য করতে পারলেও প্রিয় নবীজি (সা.) যে আমাদের থেকে বিমুখ হয়ে রইলেন তা সহ্য করা কঠিন হয়ে গিয়েছিলো আমাদের জন্য। এভাবে ৪০ মতান্তরে ৫০ দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর যখন আল্লাহ তাআলা তাঁদের তওবা কবুল করলেন তখন আল-কুরআনের এ আয়াতটি (সূরা আত-তাওবা: ১১৮) অবতীর্ণ হয়:
وَعَلَى الثَّلٰثَةِ الَّذِيْنَ خُلِّفُوْا١ؕ حَتّٰۤى اِذَا ضَاقَتْ عَلَيْهِمُ الْاَرْضُ بِمَا رَحُبَتْ وَضَاقَتْ عَلَيْهِمْ اَنْفُسُهُمْ وَ ظَنُّوْۤا اَنْ لَّا مَلْجَاَ مِنَ اللّٰهِ اِلَّاۤ اِلَيْهِ١ؕ ثُمَّ تَابَ عَلَيْهِمْ لِيَتُوْبُوْا١ؕ اِنَّ اللّٰهَ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيْمُؒ۰۰۱۱۸
ইমাম বুখারী (রহ.)-এর বুখারী শরীফের কিতাবুল মাগাযীতে এসেছে যখন তাঁদের তওবা আল্লাহ কবুল করলেন তখন তাঁদের খুশি ও আনন্দ-রোদন একসাথে মিলিত হয়েছিলো। আনন্দিত হয়ে তাঁরা নিজেদের মনের যে অভিব্যক্তি সে সময় প্রকাশ করেছিলেন, তাই ছিল স্বভাবজাত আরবি সাহিত্যের উজ্জ্বল নমুনা। হাদীস এবং সিরাতের কিতাব থেকে এসব ঘটনা যারা পড়বে তাদের অন্তর বিগলিত হয়ে যাবে অবশ্যই। এটাই হলো স্বভাবজাত আরবি সাহিত্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
৪. স্বভাবজাত আরবি সাহিত্য প্রতিভা তৈরির আরেকটি চমৎকার উৎস হলো ফিকহি গ্রন্থাবলি। অভিজ্ঞ শিক্ষকের নিকট ফিকহের কিতাবসমূহ গভীর মনোনিবেশ সহকারে অধ্যয়ন করা। যেমন- ফিকহুল হানাফীর বিখ্যাত আইনী তথা মৌলিক কিতাব আল-হিদায়া। যার মুসান্নিফ ছিলেন ইমাম বুরহানুদ্দীন আল-মুরগিনানী (রহ.)। এ হিদায়া গ্রন্থের সাবলিল বর্ণনা ও চমৎকার ভাষাগত উপস্থাপনা যেকোন আরবি সাহিত্যপ্রেমী শিক্ষার্থীর মনে রেখাপাত করবে। এ কিতাবের ভাষা খুবই চমৎকার। উপস্থাপনা যথার্থ ও নিপুণ। তাই الأدب الطبيعي শিখতে চাইলে চার মাযহাবের প্রসিদ্ধ সকল ফিকহি কিতাব অধ্যয়ন করা উচিত।
৫. আরও একটি উৎস আছে যেটা স্বভাবজাত আরবি সাহিত্য সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সেটি হচ্ছে, আরবি প্রবাদ সাহিত্য বা ضُرُوبُ الأمثال| যেটাকে ইংরেজিতে Proverb Literature in Arabic বলা হয়। এটি ভালোভাবে চর্চা এবং রপ্ত করতে পারলে যেকোন শিক্ষার্থী الأدب الطبيعي أو الأدب الفطري তথা স্বভাবজাত আরবি সাহিত্যে দক্ষ হয়ে উঠবে। আরবি প্রবাদ সাহিত্য সম্পর্কে জানতে হলে ইমাম আবুল হাসান আল-মাওয়ার্দী (রহ.)-এর রচিত প্রসিদ্ধ গ্রন্থ الأمثال والحِكم কিতাবটি পড়তে হবে। এটি কাতার থেকে من تراثنا الإسلامي-এর অধীনে প্রকাশিত হয়েছে।
আজ এ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আরবি সাহিত্যের দুইটি মৌলিক দিক الأدب الطبيعي أو الأدب الفطري এবং দ্বিতীয় প্রকার الأدب التقليدي أو الأدب الصناعي তথা স্বভাবজাত ও কৃত্রিম আরবি সাহিত্য সম্পর্কে অতিসংক্ষেপে কিছু কথা বলেছি। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আরবি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দিকপাল মুফাক্কিরে ইসলাম সাইয়িদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ.)-এর نظرات في الأدب নামক অসাধারণ ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ কিতাবটি অধ্যয়ন করা অতীব জরুরি ও প্রয়োজন। যে কিতাব সম্পর্কে শায়খ আলী তানতাবী (রহ.) ও আরববিশ্বের প্রথিতযশা আরবি সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদগণ বলেছেন, এ কিতাবে শায়খ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ.) আরবি সাহিত্যের নানা দিক সম্পর্কে এমন কিছু কথা বলেছেন যা ইতঃপূর্বে আমরা কখনো কোথাও শুনিনি! তাঁরা এ কিতাবটি পড়ে অভিভূত হয়ে গিয়েছেন।
ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে সময় ও সুযোগ হলে আমি নিজের মূল্যবান সময় ব্যয় করে তালিবু্ল ইলমদের উপকারার্থে قديم ও جديد আরবির ওপর বিশেষ করে এ দুই ধরণের আরবি সাহিত্যের মধ্যকার কোন পার্থক্য আছে কি নেই সে বিষয়ে একটি জ্ঞানগর্ভ ও তথ্যবহুল নিবন্ধ তৈরির চেষ্টা করবো। আল্লাহ সবাইকে শরীয়ার ইলম যথাযথভাবে অর্জন করার তাওফীক দান করুন। দীনের যথার্থ সেবক হিসেবে সবাইকে কবুল করুন।
الله ولي التوفيق.
লেখক: সংসদ সদস্য, (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ