কে সে মহান
আবদুল হালীম খাঁ
ভেবে দেখুন তো একবার
আসমান-জমিন সৃষ্টি কার?
নদ-নদী, ঝরণাধারা-পাহাড়
চারদিকে সাজানো কত উপহার।
চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, তারা
সৌরজড়ৎ এক রহস্যের পাড়া,
খনিতে সোনা মুক্তা-মণি
আরো কত শত রূপের লাবনী।
দিন-রাত আর ঋতুর পরিক্রমা
বৃক্ষে-বৃক্ষে ফুল-ফল নিরুপমা,
ভেবে দেখুন তো একবার
এইসব সৃষ্টি কার?
মানুষ পৃথিবীতে আসার আগে
যেখানে যার যত প্রয়োজন লাগে,
কে সৃষ্টি করে সাজিয়ে রেখেছেন
কখনো ভেবে কি দেখেছেন?
আগুন-আলো, আঁধার, বায়ু-সুর্নিবল
হাতের কাছে এই মিঠাজল
মরুভূমির মধ্যে মরুদ্যান
সমুদ্র গভীরে ফুলের বাগান।
ভূমির চেয়ে সাগরে বেশি জলচর
সৌরজগতে কত রহস্য মনোহর,
আসমানে অদৃশ্য আরো কতজন
ভেবে দেখা কি নয় প্রয়োজন?
নীলাকাশে কে ভাসায় রাঙা মেঘ
কে বাড়ায় বাতাসে এতো বেগ?
কে দেয় ভূমিকম্প, খরাবৃষ্টি ঝড়
কত রূপে তৈরি বিচিত্র চরাচর!
কে সৃষ্টি করেছে মানুষের চেহারা গঠন
এতো জ্ঞান-বুদ্ধিভরা হৃদয়-মন?
বুকে কে নিয়েছে প্রেম-প্রীতি, ভালবাসা
জন্ম থেকে আমৃত্যু অনন্ত আশা?
মানুষে মানুষে কি প্রীতির বাঁধন
কী বিচিত্র এই দেহ হৃদয় মন!
কারো মুখে হাসি, কারো মুখে জল
বেদনা অতল,
সুখ-দুঃখ, সংগ্রাম, দ্বন্দ্ব-সংঘাত
দিবস-রাত।
আঁধারের পেছনে আলো, পেছনে আঁধার
এসব সৃষ্টি কার?
এই যে আসা আর চলে যাওয়া
কিছু পাওয়া আর কিছু না পাওয়া।
কারো ক্ষমতার গর্ব
কারো দীনতায় শোক,
কারো ঘর অন্ধকার,
কারো ঘরে সোনালি আলোক।
কারো জীবনে আনন্দবান
মুখে সদা হাসি-গান,
কারো ভাগ্যে লাঞ্চনা-অপমান।
হিংসা ঘৃণা সংঘাত
চলছে দিবস-রাত।
মানুষ তো জগতে অমূল্য অতুল
কিন্তু এই যে ঝরে যাওয়া ফুল,
কার ইশারায় আসা-যাওয়া
কার ইশারায় পাওয়া না পাওয়া?
জীবন আর মৃত্যু-মৃত্যু আর জীবন
কালের প্রবাহে কতক্ষণ?
এইসব কার অবদান
কে সে মহান?
বিদায়ের নগ্ন থাবা
মোহাম্মদ নোমান ফয়েজী
কবিতার মাঝে বলি হে শিক্ষকমণ্ডলী!
বিদায়ের কিছু কথা।
বলিব কী আর জমানো স্মৃতি,
মনেযে অনেক ব্যাথা।
বিদায়ী সানাই বাজিতেছে দ্বারে
মানিবে না সেতো বাঁধা,
মায়ার বাঁধনে বাঁধিয়া থাকিতে
বৃথাই অশ্রু সাধা।
কিশোর হতে তারুণ্য অবধি
আপনারা ছিলেন পাশে,
সন্তান সম দিয়েছেন দীক্ষা
মোদের সাথে মিশে।
পিতা-মাতা গড়িয়েছে শরীর
আপনারা নিয়েছেন তার,
মানুষের মত জীবন গড়াতে
শিক্ষা দানের ভার।
পাঠ দানে করেননি তো হেলা
দিয়েছেন উজাড় করে,
আমরা সে দান নিয়েছি মাথায়
গভীর শ্রদ্ধাভরে।
হামলা
মিযানুর রহমান জামীল
চারদিকে মজলুম মুসলিম নিঃস্ব
মসজিদে হামলা নিশ্চুপ বিশ্ব!
খ্রিস্টান ইহুদির একই প্লান লক্ষ্য
দুর্বল হয়ে যাক ঈমানের বক্ষ!
বহু দিন কাল যুগ মার্কিন ক্ষিপ্ত
তাই ওরা মসজিদ ধ্বংসতে লিপ্ত!
মসজিদ যায় যাক আর সব জিন্দা
এই মতবাদকে ধিক্কার নিন্দা!
জঙ্গীর নামে শেষ জিহাদের ঢংকা
ইসলাম নিয়ে যতো কল্পিত শঙ্কা!
মুসলিম বিদ্রোহী পশ্চীমা অঞ্চল
ইসলাম ঠেকাতেই ওরা বেশ চঞ্চল!
এই হলো মুসলিম বিশ্বের চিত্র
অগ্রিম শত্রুর বানোয়াট মিত্র!
চারদিকে ভল্লুক হায়েনার লম্ফ
বিভ্রাট জনপদ ভীতি হৃদকম্প!
নস্যাৎ আমাদের এই দীনি মুল্লুক
ইসলাম গিলে খায় মার্কিনী উল্লুক!
ইউরোপ কালচার ভয়াবহ গন্ধে
জাতি আজ বিচ্ছেদ নিজেদের দ্বন্দ্বে।
মুসলিম শাসক আজ দুনিয়ায় যত্ত
নেই কোনো আফসোস ভোগ নিয়ে মত্ত!
মসজিদ পোড়ে ঐ কুফরের অগ্নি
সামনে তো আমাদের কঠিন এক লগ্নি!
নিজেদের কর্মে এ পাষাণ যিল্লত
এর চেয়ে নেই আর বড় কোনো ইল্লত!
কঠিন এক বাস্তব হোক না তা ভিন্ন
ওরা চায় মিটে যাক আমাদের চিহ্ন!
যদি হয় নিঃশেষ পাপাচার কর্ম
বিশ্বতে হবে জয় ইসলাম ধর্ম!
তাই আজ টার্গেট মুসলিম মিল্লাত
নেই সেই তিতু আজ ঐ ভাঙ্গা কিল্লাত!
আর কতো আক্ষেপ কষ্টের ক্রন্দন
চাই দৃঢ় মনোবল সত্যের বন্ধন!
রুখবে কে পরাজয় সব প্রপাগাণ্ডা
প্রয়োজন সত্যের অবিচল ঝাণ্ডা!
প্রয়োজন সে ঈমান সেই মহামন্ত্র
যার তেজ শেষ করে দেবে ষড়যন্ত্র!
কই বীর খালিদ আর তারিকের ভক্ত
আজ নয়া চেতনায় প্রয়োজন রক্ত!